স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভারতীয় হাইকমিশনার


স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ভারতীয় হাইকমিশনার

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাষ্টমীর পূজায় অংশ নিয়ে ঐতিহ্য ও আত্মিক সংযোগের বার্তা দিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। স্ত্রী মনীষা ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে গিয়ে এই পূজায় অংশগ্রহণ করেন তিনি।

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত পূজা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, এটি ইতিহাস ও ভূগোলের গভীর যোগসূত্রে গাঁথা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দুই দেশের জনগণের যৌথ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সেই সংযোগ আরও আবেগময় রূপ লাভ করেছে।

প্রণয় ভার্মা বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশ একটি অনন্য এবং বিশেষ সম্পর্ক ভাগ করে নেয়, যেটা ইতিহাস ও ভূগোলের মাধ্যমে তারা সংযুক্ত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের যৌথ ত্যাগের মাধ্যমে তারা আবেগগতভাবে সংযুক্ত।”

তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজা দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই উৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বন্ধন জাতীয় সীমানার চেয়েও গভীর। এই সম্পর্কের মূল শক্তি আমাদের জনগণ।

“দুর্গাপূজা এমনই একটি যৌথ ঐতিহ্য। এই উৎসবগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধন আমাদের জাতীয় সীমানার চেয়েও প্রাচীন এবং গভীর। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের সম্পর্কের আসল শক্তি আমাদের জনগণ,” বলেন তিনি।

হাইকমিশনার আরও জানান, দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি সমবেদনা, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যকে সম্মান জানানোর একটি উপলক্ষ। এটি শুভর জয়, আলোর জয়, এবং আশার বিজয়কে প্রতিফলিত করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের দুর্গাপূজা দুই দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।

“দুর্গাপূজা কেবল ভক্তির উৎসব নয়, এটি সংস্কৃতি, অন্তর্ভুক্তি এবং করুণারও উদযাপন। দুর্গাপূজা মন্দের ওপর শুভ, অন্ধকারের ওপর আলো এবং হতাশার ওপর আশার বিজয়ের প্রতীক। আমরা প্রার্থনা করি যে এই দুর্গাপূজা আমাদের সবার জন্য নতুন আশা নিয়ে আসে এবং আমাদের সম্পর্কের জন্য আরও উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত করে,” বলেন ভার্মা।

দুর্গাষ্টমীর দিনটিকে বিশেষ উল্লেখ করে হাইকমিশনার প্রার্থনা করেন, “এই শুভ অষ্টমী পূজার দিনে, আমি দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করি - আমাদের সকলকে জ্ঞান ও করুণার আশীর্বাদ করুন। আমাদের ওপর শান্তি, সমৃদ্ধি, সুখ ও সম্প্রীতি বর্ষণ করুন এবং আমাদের দুই দেশ ও আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করে এমন বন্ধনকে লালন করার জন্য আমাদের শক্তি ও সাহস দিন।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×