আম-ছালা দুইটাই হারানোর শঙ্কা জামায়াতের
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:০৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করা হলে ‘আম ও ছালা দুইটাই যাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বর মাসে পৃথকভাবে গণভোট করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে ডা. তাহের এসব কথা জানান। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের চার কমিশনার এবং সচিব উপস্থিত ছিলেন, আর জামায়াত থেকে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল ছিল।
ডা. তাহের বলেন, “জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সংবিধান সংশোধনী গণভোটের বিষয় দুটি সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। যদিও কিছু রাজনৈতিক দল একসঙ্গে করার পক্ষে, আমরা মনে করি তা উচিত নয়।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের দিন যদি গণভোট করানো হয় এবং সেখানে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়, তবে ‘আম-ছালা দুটোই যাবে।’”
জামায়াত নেতা যুক্তি দেখান, “জাতীয় নির্বাচনের সময় সব দল নিজেরা নির্বাচনে ব্যস্ত থাকবেন, তখন সাধারণ গ্রামবাংলার ভোটার হয়তো ধানের শীষ বা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে গণভোটের ব্যালট নিয়ে বাড়ি চলে যাবে। আবার ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে চাপ দিতে পারবে না, কারণ দলের কর্মীরা মূল নির্বাচনের ভোট কাজে দৌড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণভোট তুলনামূলক সহজ নির্বাচন, যা জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশের সহযোগিতা কেমন হবে, তা পরীক্ষা করার জন্য আলাদা সময়ে নেওয়া যেতে পারে। আর খরচও কম, কারণ একই বাক্স ব্যবহার করা সম্ভব, কেবল অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ও কালির খরচ লাগবে।”
নায়েবে আমির নির্বাচন কমিশনকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, “আমরা মনে করি, গণভোটের মতো সহজ নির্বাচনে পুলিশ সহযোগিতা পরীক্ষা করার জন্য আলাদা সময়ে এটি নেওয়া যেতে পারে।”
তিনি জানিয়েছেন, দল জোর দিয়ে অনুরোধ করেছে, যদি জাতীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়, তবে গণভোটটি আলাদাভাবে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হোক।
বৈঠকে ডা. তাহের নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেন, যে নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রার্থী প্রতীক (পিআর) এবং প্রচলিত পদ্ধতি দুইটিকে বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং ভোটার তালিকা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তবে পিআর পদ্ধতি ও গণভোটের আগে না হলে জামায়াতের পরবর্তী অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু জানাননি।
জামায়াতের প্রতিনিধিদলে ডা. তাহেরের সঙ্গে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ।