অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে ৫ কোটি টাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক: দুদক

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় নির্মাণাধীন ১৩০০ মিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাওয়ায় সৃষ্ট ক্ষতির পরিদর্শনকালে জানান, কাজটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে এবং নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সমুদ্রের ঢেউয়ে সড়কটি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার (১১ জুলাই) কুয়াকাটা পর্যটন পার্কের পাশে মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন দুদকের পটুয়াখালী জেলার সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস ও তার নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় দুদকের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসেন, কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেকসহ স্থানীয় বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনের পর তাপস বিশ্বাস বলেন, “৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার প্রকল্পটি থেকে ইতোমধ্যে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমরা যা দেখেছি, সেটা একেবারেই টেকসই বা পরিকল্পিত নয়। পুরো সড়কটাই পানিতে বিলীন হওয়ার পথেই রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে আমরা এ তদন্ত শুরু করেছি এবং জমা পড়া অভিযোগের যথাযথতা পেয়েছি। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করব এবং কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য জহিরুল ইসলাম মিরন অভিযোগ করেন, “বিগত স্বৈরাচার শাসনের সময়ে দায়িত্বরত জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের চেয়ে দুর্নীতিতে অধিক সক্রিয় ছিলেন। কোটি কোটি টাকার প্রকল্পগুলো পরিকল্পনা ছাড়া ও গাইডওয়াল না রেখে এমনভাবে করা হয়েছে যাতে সমুদ্রের ঢেউয়ে তা ধ্বংস হয়ে যায় এবং পুনঃসংস্কারের জন্য নতুন বাজেট দাবি করা যায়।”

কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক জানান, “২০২৪ সালের ২৪ মার্চ আইইউআইডিপি প্রকল্পের আওতায় জিরো পয়েন্ট থেকে মন্দির হয়ে ডিসি পার্ক পর্যন্ত ১৩০০ মিটার সড়কের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৫ সালের ২৩ মার্চ, কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। প্রথম ধাপের সময় ৬২ দিন বাড়ানো হলেও কাজ এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ওই সময়ে কোনো কাজ হয়নি।”