একাত্তরে শেখ মুজিব আর ২৪শে নেতাকর্মী নিয়ে পালিয়েছে হাসিনা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:২২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরে পালিয়েছিল শেখ মুজিব, আর ২৪ সালে নেতাকর্মী নিয়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাসহ শতশত এমপি-মন্ত্রী পালিয়ে গেলেও বিদেশের মাটিতে বসে এখনো ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। দেশকে একটি কঠিন বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তারা। যদিও এ ষড়যন্ত্রে কিছুই করতে পারবে না। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভার আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেসটুন নিয়ে নানা স্লোগান দিয়ে জনসভাস্থলে যোগ দেয়। হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের জনসভা স্থল কানায় কানায় ভরে যায়।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানুষ তাদের রুখে দিয়েছে। আজকে দেশ গড়ার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ‘আগামী সরকার বিএনপিই গঠন করবে এবং সব সমস্যার সমাধান করবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। তার হাত ধরে সব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে। তাই আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করবে।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির মধ্যেই সকল সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। তাই, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্বিত করবেন না। কারণ পার্লামেন্ট ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। আর জনগণকে ক্ষমতায় আনতেই বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরেই স্থানীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলুর সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
হাবিব বলেন, যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে মিথ্যা মামলায় দোষারোপ করে অন্যায়ভাবে মানুষকে সাজা দিয়েছে তারা মোনাফেক, কাফের। মৃত্যুর পরে এদের স্থান হবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। একটি সাজানো মামলায় আমাকে ৭০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল।
পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের তরজমা করে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালার বিচার পেয়েছি। আবু সাঈদ, আসিফসহ শতশত ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ২৪ এর আন্দোলনে শতশত ছাত্র জনতা শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কোনোভাবেই বিফল হতে দেয়া যাবে না।
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী আলাউদ্দীন ও ডা. মো. শহিদুল আলম। এছাড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল আলিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসানও বক্তব্য দেন।