সাংবাদিক তুহিন হত্যা: জামায়াতের নিন্দা ও বিচার দাবি

গাজীপুরে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে এ ঘটনার কঠোর নিন্দা জানানো হয়।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, "বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ-এর গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।"

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের ঠিক আগের বিকেলে আসাদুজ্জামান তুহিন গাজীপুরে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি লাইভ সম্প্রচারে অংশ নেন। এরপর রাতেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, "এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। যেখানে একজন সাংবাদিকই নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা কোথায়? এই নির্মম হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য একটি অশনিসংকেত। বর্তমান সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরমভাবে ব্যর্থ।"

চাঁদাবাজ চক্রের তৎপরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে তারা শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই হামলা করছে না; বরং মানুষকেও নির্মমভাবে হত্যা করছে। চাঁদার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নিজেরাই একে অন্যকে খুন করছে। চাঁদাবাজ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। আমি দেশবাসীকে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।"

বিবৃতির শেষাংশে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, "দ্রুত সময়ের মধ্যে আসাদুজ্জামান তুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।"