দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘সম্প্রীতির বার্তা’ দিলেন তারেক রহমান

শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ উৎসব যেন সকল ধর্মাবলম্বীর বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে তারেক রহমান এ শুভেচ্ছা জানান। তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধের সৌন্দর্যই হলো বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব।”

তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন নিশ্চিন্তে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করেন এবং সেইসঙ্গে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দেন।

তারেক রহমানের মতে, সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিক, তাদের ধর্ম, মত বা জাতিগত পরিচয় নির্বিশেষে, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রাখেন এবং এটি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তিনি বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”

ধর্মীয় সহাবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি একটি হাদিস উদ্ধৃত করেন: “যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে বা তার অধিকার খর্ব করে, কেয়ামতের দিন আমি সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়বো।”

এ সময় বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অপচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতি আর না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, “আপনারা উৎসাহ-উদ্দীপনা সহকারে নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারাদেশে উৎসব-আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন।”

বিএনপির পক্ষ থেকে পূজার শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি; ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।”