৫ দফার ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে: ড. হেলাল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৬ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ও ঢাকা-৮ আসনে দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দিতে হবে।
জামায়াতের উত্থাপিত এ দাবিগুলো হলো—‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-নিপীড়ন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার করা’ এবং ‘জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা’।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) শাহজাহানপুর পূর্ব থানায় আয়োজিত রুকন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, এই ৫ দফা কেবল জামায়াতের নয়, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও এতে একমত। কিন্তু সরকার কেন এ দাবি পূরণে অনীহা দেখাচ্ছে—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নির্দিষ্ট দলকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করে, তবে সেটি জাতির সামনে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের এই দাবি অগ্রাহ্য করলে জামায়াত ইসলামী জনতার সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
জুলাই বিপ্লবের এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো ‘জুলাই সনদের’ আইনগত ভিত্তি না দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন হেলাল উদ্দিন। তিনি অভিযোগ করেন, একটি রাজনৈতিক দলের চাপে সরকার এই ভিত্তি দিতে পারছে না। তাঁর দাবি, সরকার যদি এই ষড়যন্ত্রে আটকে যায়, তবে শুধু জুলাই চেতনা ক্ষুণ্ণ হবে না, বরং সরকারের আইনগত ভিত্তিও প্রশ্নের মুখে পড়বে।
হেলাল উদ্দিন বলেন, জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি সরকারের টিকে থাকার স্বার্থেও জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া জরুরি। নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারকে তিনি অবিশ্বাস করে বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে তারাই, তাই তাদের দ্বারা নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। জুলাই বিপ্লবের পর জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর যে আস্থা রেখেছে, সেই আস্থা রক্ষায় এ দায়িত্ব পালন করা সরকারের নৈতিক কর্তব্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমির মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। পরিচালনায় ছিলেন থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এ সময় থানার শুরা, কর্মপরিষদ সদস্য এবং রুকনরা উপস্থিত ছিলেন।