মাদারীপুরে দুইটি স্থানে বাবুর্চি ও ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:৫৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৫
মাদারীপুরে দুইটি পৃথক স্থানে এক ভ্যানচালক ও এক বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে জেলার রাজৈর উপজেলার নয়ানগর মাছকান্দি ও সদর উপজেলার ঝিকরহাটি এলাকা থেকে মরদেহটি দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম রাজৈর গ্রামের আমজেদ আকনের ছেলে আকাশ আকন (১৮)। অপরজন সদর উপজেলার ঘাটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামের এলাজদ্দিন বেপারীর ছেলে মোঃ ইমরান বেপারী (৫৮)। তবে অটোভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই আকাশ আকনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হন আকাশ। কিন্তু রাতে আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের নয়ানগর মাছকান্দি গ্রামে বদরপাশা-উমারখালী সড়কের পাশে তার মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। এসময় রাজৈর থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন বাবুর্চি ইমরান। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। আজ সকালে সদর উপজেলার ঘাটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামের খান বাড়ির পাশের রাস্তায় ইমরানের মরদের পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে মাদারীপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। তার একটি চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজৈরের আকাশ আকনের গলায় চিকন রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং তার অটোভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। আসামি ধরার জন্য কাজ করছে পুলিশ। এছাড়াও সদর উপজেলার ঝিকরহাটি থেকে উদ্ধার মরদেহটির বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। দুইটি মরদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।