রাজধানীতে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:২১ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫
টানা ২৪ ঘণ্টার পৃথক অভিযানে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (৪ আগস্ট) এই তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন— কদমতলি থানা এলাকার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ লিপি (৪৬), সাবেক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী শাহ মুহাম্মদ সবুর হোসেন (৪৮), কৃষক লীগ নেতা শাহ বিপুল খন্দকার ওরফে বদি (৪০), অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কামাল পাশা চৌধুরী (৬৫), ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. সোহাগ মিয়া ওরফে মির্জা (৩৩), বারনটেক ইউনিট আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মতলব মুন্সী (৫৫), কুমিল্লার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রমিজ উদ্দিন সরকার (৫৮), বগুড়ার যুবলীগ নেতা মো. আইয়ুব আলী তরফদার (৪৭), বংশাল যুবলীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান টিটু (৪৮), তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আমানউল্লা হোসেন অপু (৫৯), এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম (৩৮)।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, "রোববার (৩ আগস্ট) কদমতলি থেকে কাউন্সিলর লিপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সংশ্লিষ্ট একাধিক মামলা রয়েছে।"
একই দিন বিকেলে তেজগাঁও বিভাগের একটি দল মোহাম্মদপুর থেকে শাহ মুহাম্মদ সবুর হোসেন এবং শাহ বিপুল খন্দকারকে আটক করে।
সাইবার ইউনিটের একটি অভিযানে ধরা পড়েন অনলাইন ব্লগার কামাল পাশা। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সামাজিক মাধ্যমে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়েছেন।
এছাড়া মগবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহাগ মিয়াকে। পল্লবী থেকে ধরা হয় মতলব মুন্সীকে, যিনি দুটি মামলার আসামি হিসেবে নাম রয়েছে এজাহারে।
রোববার রাতে বংশাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান টিটুকে। অন্যদিকে, ভাটারা থেকে আরিফুল ইসলাম, দক্ষিণ বেগুনবাড়ি থেকে সৈয়দ আমানউল্লা হোসেন অপু, রমনা থেকে রমিজ উদ্দিন সরকার এবং বগুড়া থেকে আইয়ুব আলী তরফদারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
