মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার নবাবগঞ্জে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মো. মাসুম। ২৯ জুন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়ের হওয়া এ মামলা বর্তমানে নবাবগঞ্জ থানার তদন্তাধীন।

সূত্র জানায়, ২৪ জুন সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তা পত্রিকায় হাসনাবাদ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মাসুমের অবৈধ সম্পদ ও মাদক কারবার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অল্প সময়ের মধ্যে মাসুম বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাসুমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের পর তিনি এশিয়া বার্তা-র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও স্যাটেলাইট চ্যানেল এস-এর দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি কাজী জোবায়ের আহমেদকে প্রধান আসামি করে এবং আরও চারজন অজ্ঞাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেন।

ঘটনার পর ঢাকা জেলা, দোহার ও নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা মামলাটিকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্ত মাসুমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, “সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

ঢাকা জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, “সাংবাদিকের ওপর এমন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা সাংবাদিকের কলম রুখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।”

দোহার প্রেস ক্লাবের সভাপতি তারেক রাজিব বলেন, “সাংবাদিক কাজী জোবায়ের আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। পাশাপাশি সঠিক তদন্ত করে মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।”

নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “সারাদেশে সাংবাদিক হত্যা ও হামলার শিকার হচ্ছে। দোহারেও সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. মমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং সঠিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।