সাংবাদিক তুহিন হত্যা : প্রিজনভ্যানে মামলার আসামির ‘ধূমপান’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১১:৫১ এম, ১০ আগস্ট ২০২৫
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেটু মিজানকে প্রিজনভ্যানের ভেতরে দাঁড়িয়ে ধূমপান করতে দেখা গেছে—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিজনভ্যানের গেটের কাছে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছেন কেটু মিজান, আর তার পাশেই আরেক আসামি চুপচাপ তাকিয়ে আছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ওই দিন বিকেলে তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কার্যালয় থেকে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর আল মামুনের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর কারাগারে নেওয়ার পথে প্রিজনভ্যানেই ধূমপান করছিলেন কেটু মিজান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—কেটু মিজানের স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি, আল আমিন, স্বাধীন, মো. শাহজালাল, মো. ফয়সাল হাসান এবং সুমন ওরফে সাব্বির।
ভিডিওটি প্রথম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন স্থানীয় সাংবাদিক রেজাউল করিম। তিনি ফেসবুকে প্রিজনভ্যানে মিজানের হাতে সিগারেটের ছবি দিয়ে লিখেন, “পুলিশের প্রিজনভ্যানের মধ্যে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রধান আসামি কেটু মিজান নেশাদ্রব্য পাইলো কীভাবে?”
অন্যদিকে, নিলয় আহমেদ নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, “প্রিজনভ্যানের মধ্যেও রাজকীয় হালে আছে। মনে হচ্ছে এসব খুন ২/১ টা তার কাছে কিছুই না।”
ঘটনা নিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এরকম একটা ছবি আমার চোখেও পড়েছে। তবে আমাদের কার্যালয় থেকে বা আদালত থেকে ফেরার পথে হতে পারে। মনে হয় না আমাদের এখান থেকে নেওয়ার পথে ঘটেছে। আদালত থেকে ফেরার পথে মনে হচ্ছে। কেউ কেউ হয়তো সিগারেট দিয়েছে আদালতের চত্বরে। এটা তদন্ত করা প্রয়োজন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে নিহতের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন, যেখানে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।