পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৩৬ এম, ১২ নভেম্বর ২০২৫
দেশের সর্বউত্তরের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে শীতের আমেজ এখন বেশ স্পষ্ট। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা, ভোরবেলা মাঠে-মাঠে ঝরছে শিশির, আর সকাল-সন্ধ্যায় বইছে শীতল হাওয়া।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, এর আগের দিন মঙ্গলবার একই স্থানে তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ একদিনে প্রায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে তাপমাত্রা।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ, যার ফলে সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে কুয়াশার সাদা আস্তরণ। দৃশ্যমানতা নেমে আসে কয়েক হাত দূরে, ফলে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
টুনিরহাট এলাকার অটোচালক ফারুক হোসেন বলেন, “সকালে কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালালেও সামনের রাস্তা দেখা যায় না। এখন সকালে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না।”
মোটরসাইকেল চালক রবিউল ইসলাম বলেন, “সকালে জরুরি কাজে বের হয়েছি, কিন্তু এই ঠান্ডায় হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকবে চারপাশ, আর কোথাও কোথাও দিনের বেলাতেও কুয়াশা দেখা যেতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এর ফলে রাতে দ্রুত তাপমাত্রা কমে যায় এবং ভোরে গড়ে ওঠে ঘন কুয়াশা। এই ধরনের আবহাওয়া সাধারণত গ্রীষ্ম ও শীতের সংযোগকালে দেখা যায়, আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে জলবায়ুর পরিবর্তনকেই চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর ডিসেম্বরজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”