আদালতে পিবিআইর চার্জশিট, আত্মহত্যা করেছিলেন দুদকের পিপি নওরোজ

খুলনার পিপি শেখ মো. লুৎফুল কবির নওরোজ দীর্ঘদিন ধরে ধার-দেনার বোঝা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার মরদেহ ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামের পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

দীর্ঘ দুবছরের তদন্তের পর মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পিবিআই আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পিবিআইর চার্জশিট অনুযায়ী, লুৎফুল কবির নওরোজের অনেকের কাছে ঋণ ছিল। রূপসা উপজেলার নৈহাটি গ্রামের ইব্রাহিম শেখের স্ত্রী বিলকিস বেগমের কাছে জমি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে তিনি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। জমি হস্তান্তর করতে না পারায় ১৮ লাখ টাকার একটি চেক দেন, যা অগ্রণী ব্যাংকের স্যার ইকবাল রোড শাখায় অব্যবহৃত থাকায় তার বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে মামলা হয়।

এছাড়া গোপালগঞ্জের গোপীনাথপুর গ্রামের বারেক মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগমের কাছ থেকেও তিনি টাকা ধার নেন। ধার-দেনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই পীর খানজাহান আলী (রহ.) ব্রিজ থেকে রূপসা নদে ঝাঁপ দেন। ব্রিজের নিচে পিলার ও লোহার ধাতুর সঙ্গে সংঘর্ষে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। ১৬ জুলাই স্থানীয়রা নদীতে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন। মাথার পেছনের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

পরের দিন, ১৭ জুলাই, তার দ্বিতীয় স্ত্রী জেসমিন নাহার বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন।

চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়, একই বছরের ১৩ জুলাই জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ তারার ড্রয়ারে লুৎফুল কবির নওরোজের মৃত্যুর পর আদালতের কার্যক্রম বন্ধ না রাখার একটি চিরকুট রেখেছিলেন। এছাড়া চার্জশিটে বলা হয়েছে, তিনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, দেনাগ্রস্ত এবং পারিবারিক অশান্তির মধ্যে ছিলেন।