৬ দেশে হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা আঘাত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩৭ এম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বৃহস্পতিবার ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এর একদিন আগেই ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩৫ জন।
বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানোর পর ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই ধ্বংস করা হয়েছে।”
হামলার দায় এখনো কোনো পক্ষ স্বীকার করেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরাই এটির পেছনে থাকতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলার পর গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযানের জবাবে হুথিরা ইতিপূর্বেও একাধিকবার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে - এমনটাই জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।
এর আগে বুধবার ইসরায়েল হুথি নিয়ন্ত্রিত সানায় বিমান হামলা চালায়। রাজধানীর পাশাপাশি জাওফ প্রদেশের একটি হুথি সামরিক স্থাপনাও টার্গেট করা হয়।
হুথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি বলেন, “সানায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ১১৩ জন। জাওফে নিহত হয়েছেন ৭ জন এবং আহত ১৮ জন।”
গত মাসেও সানায় একটি সরকারি বৈঠকে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাবি, নয়জন মন্ত্রী এবং দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।
তেল আবিবের সম্প্রতি চালানো এই সিরিজ হামলার পেছনে রয়েছে একটি বিস্তৃত সামরিক কৌশল। মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে ইসরায়েল ছয়টি দেশকে টার্গেট করেছে - ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবানন, তিউনিশিয়া, কাতার ও ইয়েমেন।
এই ধারাবাহিক অভিযানের সূচনা ঘটে গত সোমবার। সেদিন গাজায় চালানো ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৫০ জন এবং আহত হন আরও ৫৪০ জন।