এপ্রিলেই বেইজিং যাচ্ছেন ট্রাম্প, জিনপিংকে দিলেন পাল্টা দাওয়াত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১৪ এম, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে নতুন গতি এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাম্প্রতিক ফোনালাপের মাধ্যমে। আলোচনার পর ট্রাম্প আগামী বছরের এপ্রিল মাসে বেইজিং সফরে যেতে সম্মতি দিয়েছেন, একই সঙ্গে জিনপিংকেও ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর এই ফোনালাপকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান ও ফেন্টানিলসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রায় এক মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকের পর এটি তাদের প্রথম দীর্ঘ আলাপ।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়!” চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও জানায়, সমতা, পারস্পরিক সম্মান ও লাভজনক সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয় দেশ ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একমত হয়েছে।
এর আগে বুসানের বৈঠকে শুল্কসংক্রান্ত উত্তেজনা কমাতে দুই পক্ষ এক ধরনের ‘যুদ্ধবিরতিতে’ পৌঁছায়। তখন যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের প্রবাহ কমানোর শর্তে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেকে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও এখনো গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। চীনের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক মোটের ওপর স্থিতিশীল ও ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটিকে প্রশংসা করা হচ্ছে।
ফোনালাপের সময় বাণিজ্যের পাশাপাশি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও তাইওয়ান প্রসঙ্গও উঠে আসে। জিনপিং ট্রাম্পকে বলেন, তাইওয়ানের “চীনে প্রত্যাবর্তন” যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় চীনের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাইওয়ান ইস্যু ঘিরে চীন ও জাপানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান এর আগে সতর্ক করে বলেছিল, তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য হামলা হলে তারা সামরিক প্রতিক্রিয়ায় যেতে বাধ্য হতে পারে। তবে ট্রাম্প তার পোস্টে তাইওয়ান বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, সোমবারের ফোনালাপ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। তিনি বলেন, “চীনের পক্ষ থেকে আমরা যা দেখছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট এবং তারাও একই বিষয় অনুভব করছে।”