ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:৫০ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৫
প্রথমবারের মতো চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তাঁর বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, আর নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সফরকে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কমনওয়েলথ সচিবালয় জানিয়েছে, সফরের সময় বচওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তার ব্যস্ত কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া তিনি ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনারদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন, যেখানে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের বিষয়ে মতবিনিময় হবে।
সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কমনওয়েলথের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা তুলে ধরা, যেখানে গণতন্ত্রকে তিনটি প্রধান স্তম্ভের একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে কমনওয়েলথ কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে- এ বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সফরের আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে শার্লি আয়োরকর বচওয়ে বাংলাদেশকে “কমনওয়েলথের মূল্যবান সদস্য” বলে আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশ প্রথম যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগ দিয়েছিল, কমনওয়েলথ তার একটি, যা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।”
তার সফর পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বচওয়ে আরও বলেন, “বাংলাদেশের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার হলো একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করা, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকবে।”
তিনি যোগ করেন, “বাংলাদেশের মানুষ আমাদের কাছে এটাই চায়। একটি ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার যাত্রায় তারা কমনওয়েলথকে একটি বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে পাবে।”
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান সংস্কার উদ্যোগেও কমনওয়েলথ কী ধরনের সহায়তা দিতে পারে, এ সফরে সে বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।