নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি


নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চালানো গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ। গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে ব্যাপারে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দলের নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সংলাপে যোগ দেন।

সংলাপে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পার্থ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের প্রস্তাব তারা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের আমলে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করা যায় কি না সে ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দালিব রহমান পার্থ।

সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা বলেছি আমরা বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের জুন বা জুনের পরেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব। উনাদের চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। উনারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবেন এবং আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

ববি হাজ্জাজ বলেন, নির্বাচন সম্বন্ধে বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন ছয়টি কমিশনের রিপোর্ট আসার পর প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে আরেকবার সংলাপে বসবেন। কমিশন যেসব সংস্কার প্রস্তাব করবে সেগুলো এই সরকার করবে নাকি নির্বাচিত সরকার করবে সে বিষয়ে আমাদের মতামত জানতে চাইবেন। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেই উনারা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করবেন এবং তার আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ জানানোর চেষ্টা করবেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি এর আগেও কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। এবার রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধান রাজনেতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

শনিবার চতুর্থ দফার এই সংলাপে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম ছাড়াও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিজেপি, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ অভিযোগ ওঠার পর জাতীয় পার্টিকে ডাকা হয়নি এই সংলাপে। 
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×