এনসিপি তার অস্তিত্বের শেষ বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে: তুহিন খান


এনসিপি তার অস্তিত্বের শেষ বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে: তুহিন খান

দল হিসেবে এনসিপি তার অস্তিত্বের শেষ বিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে। দলটির এই পরিণতির অন্যতম কারণ বিএনপির সাথে আসন নিয়ে দর কষাকষি। জুলাই সনদ নিয়ে এনসিপির এখন কোনো আলাদা অবস্থানও নেই বলে জানিয়েছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান।

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তুহিন খান ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে এনসিপির রাজনীতি বরাবরই এক ধরনের প্রক্সি ওয়ারের বেশিকিছু হতে পারেনি। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও আদর্শিক লাইন ও নির্বাচন স্ট্রাটেজি-কেন্দ্রিক এক ধরনের দূরত্ব বা দ্বৈততা তৈরি হয়েছে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের ভরাডুবির বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে এসবেরই ফলাফল দেখা গেছে দেশব্যাপী। জাতীয় নির্বাচনেও দেখা যাবে বলে আমার ধারণা।

ছাত্র সংসদের মতো জাতীয় নির্বাচনেও সব আসনে এনসিপির পরাজয়ের সম্ভাবনার ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন এনসিপির অল-আউট খেলার সাধ তৈরি হয়েছে। আর এই অল-আউট গেমে জামায়াত তার ন্যাচারাল অ্যালাই।

জুলাই সনদ নিয়ে এনসিপির অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, খেয়াল করে দেখেন, জুলাই সনদ নিয়ে এনসিপির এখন কোনো আলাদা অবস্থান নেই। বিএনপির অবস্থান আছে, জামায়াতসহ ৮ দলের আছে। জামায়াতের অবস্থানই এনসিপির অবস্থান। সরাসরি তারা এটা বলতে পারে না, তবে বাস্তবতা তাই।

জামায়াতের গুপ্ত নীতি নির্দেশ করে তিনি আরও বলেন, রাজনীতির ছাত্রমাত্রই জানে, জামায়াত কোনো দলে ঢুকলে, তাকে ভেতর থেকে খেয়ে ফোকলা করে ফেলে। ছাত্রলীগ তার ভালো উদাহরণ।

জামায়াতের রাজনীতি সরল নয় উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, জামায়াতের আন্দোলন এতটা সরল না। এনসিপিকে রেখে তারা যেভাবে জুলাই সনদের ট্রেনে উঠে গেছে, সেভাবে আবারও এনসিপিকে রেখে তারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠে পড়তে পারে। দেখা যাবে, সরকার এমন প্রস্তাব দেবে, বিএনপি ও খুশি, জামায়াতও খুশি। সরকারও খুশি। এনসিপির কোনো পজিশন নাই।

এনসিপির শিক্ষাগ্রহণ করার ইচ্ছা ও আগ্রহ কোনোটাই নেই জানিয়ে; তিনি ব্যাঙ্গ করে জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতার লাইন দিয়ে লেখা শেষ করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×