গণভোটের ৪টি প্রশ্নের কোনো একটিতে না বলার সুযোগ কোথায়: রিজভী
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:৩৯ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, গণভোটের চারটি প্রশ্নের যেকোনো একটির সঙ্গে দ্বিমত থাকলেও জনগণের কাছে ‘না’ বলার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি, যা প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
শনিবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অসুস্থ বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুষ্ঠানে রিজভী এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, গণভোটের মূল উদ্দেশ্য যদি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই বুঝতে না পারে, তাহলে উদ্যোগটি সফল হবে না। তার ভাষায়, “গোঁজামিল দিয়ে কোনো কিছু করা হলেও তা টেকসই হবে না।” তিনি দাবি করেন, প্রশ্নমালায় ‘না’ বলার বিকল্প না থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের প্রকৃত মতামত জানানোর সুযোগ পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী দুর্ভোগের মধ্যে থাকলেও সেই সমস্যাগুলো লাঘবে রাষ্ট্রের কার্যকর উদ্যোগের অভাব দীর্ঘদিনের। রিজভীর মতে, রাজনৈতিক দলগুলো গণভোট বা পিআরের বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকার বদলে নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, বিএনপি এই সনদের পক্ষে থাকলেও তা জাতির সামনে যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি, আরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন ছিল।
আওয়ামী লীগকে ভারতের সহযোগিতায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে রিজভী বলেন, তারা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বিচারের বিষয় আদালতের, মানুষ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চায়।”
দেশের পরিস্থিতি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোলাটে করে তোলা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। রিজভীর অভিযোগ, পতিত স্বৈরাচার পাশের দেশে বসে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে এবং ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে গাড়ি পোড়ানোসহ সহিংসতার ঘটনাগুলো সেই ধারাবাহিকতার অংশ। এসব কর্মকাণ্ডকে তিনি “আওয়ামী সংস্কৃতি” হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে, সরকার শুরুর দিকেই ফ্যাসিবাদী প্রবৃত্তির লাগাম টেনে ধরতে পারলে এসব ঘটত না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।