লালমাই পাহাড় ধ্বংসের বিষয়ে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ‘অধিকতর উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে লালমাই পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনন্য প্রত্নতাত্তিক সম্পদসমৃদ্ধ লালমাই পাহাড় ধ্বংস করায় পরিকল্পনা কমিশন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক এর দায়-দায়িত্ব নিরূপণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দিল আফরোজ বেগম স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের একনেক সভায় এই প্রকল্প অনুমোদনের সময় শর্ত দেওয়া হয়েছিল, অবকাঠামো নির্মাণে পাহাড় না কেটে ডিজাইন তৈরি করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের শর্তেও বলা হয়েছিল, প্রকল্পে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
তবে এসব শর্ত ভঙ্গ করে কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কেটে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সরেজমিন পরিদর্শনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কুবির এ ধরনের কর্মকাণ্ড নেতিবাচক উদাহরণ তৈরি করেছে। এর ফলে সমাজে পাহাড় কেটে উন্নয়ন কাজ করার ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে।