শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যাকাণ্ড: ৫ দিন পর মামলা, আসামি অজ্ঞাত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:২১ এম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় পাঁচ দিন পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) নিহত মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার রীপা সূত্রাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, "তারিক সাইফ মামুন হত্যার ঘটনায় শনিবার তার স্ত্রী রীপা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।"
ওসি আরও জানান, "ডিবি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তবে হত্যার মামলায় কেন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে তা তদন্তকারী অফিসার নির্ধারণ করবেন। গ্রেপ্তাররা অস্ত্র মামলায় ধরা পড়েছে।"
গত ১১ নভেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে দুইজন পেশাদার শ্যুটার ফারুক ওরফে কুত্তা ফারুক ও রবিন। বাকি তিনজন হলেন ইউসুফ, রুবেল ও শামীম।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত ফারুক ও রবিন ছিলেন পেশাদার শ্যুটার। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি পিস্তল, নগদ অর্থ এবং মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রনি। তিনি একসময়ের মুদি দোকানি, বর্তমানে কাফরুলের বাসিন্দা এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী। আন্ডারওয়ার্ল্ডে ইমন-মামুন জুটির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য এবং প্রকট। হত্যার জন্য রনি নিজে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন এবং অস্ত্র সরবরাহ করেন। রনি পলাতক, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত সোমবার (১০ নভেম্বর) পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় প্রকাশ্যে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, মামুন আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর আফতাবনগরের বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। দুই বছর আগে তেজগাঁও এলাকায় তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা হয়েছিল।
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছরের বেশি সময় জেল খেটে ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পান মামুন। জামিন পাওয়ার মাত্র তিন মাসের মাথায় ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় পাশের মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায় আঘাত লাগে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে ভুবন মারা যান। পুলিশ জানিয়েছিল, গুলি ছোড়েন কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের লোকজন।
ইমন ও মামুন এক সময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতেন। তাদের বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন-মামুন’ বাহিনী। তারা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।