মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ


মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী-এর মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া মামলার ৬ আসামির জাবজ্জীবন কারাদণ্ডও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, ২ জুন ২০২৫-এ হাইকোর্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকার জরিমানাও বজায় রাখা হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ, মো. নিজাম উদ্দিন

মামলার শুনানি শেষ হয় ২৯ মে ২০২৫-এ, যখন ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ঘটনাটি ঘটেছিল ৩১ জুলাই ২০২০-এ রাত ৯:৩০ টায়, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে। পুলিশ বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলী-এর গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা।

পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট ২০২০, নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে ১৩ ডিসেম্বর ২০২০-এ র‌্যাব ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। চার্জশিটে হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হত্যার ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এরপর ৩১ জানুয়ারি ২০২২-এ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা আপিল করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×