মেজর সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায়
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বহুল আলোচিত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় অনুযায়ী, আসামিরা চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে চলতি বছরের ২ জুন এ মামলার ডেথ রেফারেন্স নিষ্পত্তি করে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির শাস্তিও অপরিবর্তিত থাকে। এ ছয়জন হলেন- সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়া মারিশবুনিয়া এলাকার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ এবং মো. নিজাম উদ্দিন।
একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়। গত ২৯ মে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ৫ আগস্ট, সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরে র্যাব ১৩ ডিসেম্বর ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়, যেখানে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার রায় দেন। সেখানে প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং নন্দদুলাল রক্ষিতসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাকি সাতজন খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং কারাবন্দী দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও আপিল করেন।