যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে


যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলায় দুই আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন অগ্রগতি এসেছে। দোকানে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ আদেশ দেন। তদন্তের প্রয়োজনে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী রানা শেখ রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. জামাল উদ্দিন তার বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ডে পাঠান।

রিমান্ডে যাওয়া দুই ব্যক্তি হলেন হত্যা পরিকল্পনা ও নির্দেশনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ থাকা সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মো. মনির হোসেন, বয়স ৩০, এবং মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন, বয়স ৩৫।

১৮ নভেম্বর রাতে সাভারের বিরোলিয়া এলাকা থেকে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানার মাজারবস্তি এলাকা থেকে সুজনকে আটক করে র‌্যাব-৪।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের একটি হার্ডওয়্যার দোকানে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গোলাম কিবরিয়া মাঝে মাঝে বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে তার বন্ধু মাসুদ রানার সঙ্গে আড্ডা দিতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে দোকানে এসে গুলি চালায় মো. জনি ভূইয়া, সোহাগ কালু ও রোকন। পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সোহেল ও মাসুম। আসামিরা কিবরিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়রা জনি ভূইয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকিরা দ্রুত সরে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় কিবরিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×