পূর্ব ইউক্রেনের প্রধান শহরের দখল নিলো রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৪৭ এম, ২১ নভেম্বর ২০২৫
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ শহর কুপিয়ানস্ক এখন রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক শাখার প্রধান জেনারেল সের্গেই কুজোভলেভ বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।
কুজোভলেভ পুতিনকে বলেন, “রুশ সেনারা কুপিয়ানস্ক শহরকে মুক্ত করেছে। এই শহরটি ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় দুর্গ এবং প্রধান ঘাঁটি।”
রাশিয়ার নতুন এই অগ্রগতির খবর এমন এক সময় এসেছে, যখন ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুদ্ধ শেষ করার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেয়েছে। কিয়েভের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, “আমরা চুক্তির খসড়া পড়েছি এবং আমাদের মনে হয়েছে, (যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে) রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন দখলকৃত ভূখণ্ড নিজেদের বলে যে দাবি জানিয়ে আসছে, এই খসড়া তারই প্রতিধ্বনি।”
২০১৪ সালে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করে। পরে ২০১৫ সালে মিনস্কে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে ইউক্রেন ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয় এবং সাংবিধানিক স্বীকৃতির আশ্বাস দেয়।
কিন্তু ওই সমঝোতা বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তদবির শুরু করে ইউক্রেন। কয়েক বছরের টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের আদেশে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয় এবং তা এখনো চলছে। প্রায় চার বছরের এই যুদ্ধে রাশিয়া দনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন—মোট চারটি প্রদেশ নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। অঞ্চলগুলোর সমন্বিত আয়তন ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ডের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।
এ সময়ে একাধিকবার যুদ্ধবিরতির চেষ্টা হলেও দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি। রাশিয়া চাইছে ক্রিমিয়া ও দখলকৃত চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া দখলকৃত এলাকা ছেড়ে না দিলে যুদ্ধবিরতির প্রশ্নই ওঠে না।
সূত্র: এএফপি