খাবারের আশায় গাজায় খাদ্য গুদাম ভাঙতে গিয়ে নিহত ২, আহত একাধিক


খাবারের আশায় গাজায় খাদ্য গুদাম ভাঙতে গিয়ে নিহত ২, আহত একাধিক

জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, মধ্য গাজায় ক্ষুধার্ত শত শত মানুষ খাদ্য গুদাম ভাঙচুর করেছে। এতে দুইজন নিহত এবং একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। খবর বিবিসি

নিউজ সংস্থা এএফপির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দেইর আল-বালাতে অবস্থিত আল-গাফারি খাদ্য গুদামে প্রবেশ করে ফিলিস্তিনিরা আটার ব্যাগ, খাবারের কার্টুন নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায়। তবে কোথা থেকে এই গুলি করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে যা জানা যায়নি। 

ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। তিন মাস গাজায় খাদ্য সহায়তা প্রবেশ বন্ধ রাখার পর গত সপ্তাহে সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরবরাহ করার জন্য খাবারগুলো গুদামে রাখা হয়েছিল। এছাড়া গাজায় দ্রুত খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গাজাবাসীদের অনাহারে না থাকার জন্য এটাই একমাত্র সমাধান। 

গতকাল বুধবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার প্রায় ১২১টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। যেগুলোতে আটা এবং খাদ্য রয়েছে। 

ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত সংস্থা গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) প্রাইভেটভাবে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এটি মার্কিন ঠিকাদারদের ব্যবহার করে জাতিসংঘকে এড়িয়ে কাজ করছে। যা অনৈতিক এবং অকার্যকর। 

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, হামাস কর্তৃক ত্রাণ চুরি ঠেকাতে জিএইচএফ গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে চারটি বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তবে হামাস ত্রাণ চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র জিএইচএফ এ গিয়ে মঙ্গলবার ৪৭ জন মানুষ আহত হয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ বিতরণের একদিন পরই এ ঘটনা ঘটল। 

জাতিসংঘের আরেকজন সিনিয়র কর্মকর্তা বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, অভুক্ত মানুষ জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে খাদ্য ছিনিয়ে নিয়েছে। 

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাকারী অফিসের প্রধান জনাথন হুইটল বলেছেন, হামাস খাদ্য ছিনিয়ে নিচ্ছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। 

তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যারা খাবার ছিনিয়ে নিয়েছে তারা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। যাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার কেরেম শালোম সীমান্ত পয়েন্টের আশপাশে এ ধরনের অপরাধ করার অনুমতি দিয়েছে।’

জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়ে বলেছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় যেভাবে খাদ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেভাবে ট্রাক প্রবেশ করানোর অনুমতি দেয়া হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের খাদ্য ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা কমে যাবে এবং পুরো গাজায় শান্তিপূর্ণভাবে খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×