ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দাঁড়াল এবার রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:২২ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েল সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা পূর্ব জেরুজালেমে নতুন বসতি স্থাপন করবে। তবে, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আওতায় এই অঞ্চলকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজধানী হিসেবে গণ্য করা হয়। পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণের ফলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে সংকুচিত হবে।
ইসরায়েলের এই উদ্যোগটি ‘ই-ওয়ান সেটেলম্যান্ট প্ল্যান’ নামে পরিচিত। এই পরিকল্পনার আওতায়, মা’আলে আদুমিম শহরের সঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের সংযোগ স্থাপন করে পূর্ব জেরুজালেমের বিস্তার ঘটানো হবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার মস্কোতে সাংবাদিকদের বলেন, "অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি অত্যন্ত নেতিবাচক দিকে এগোচ্ছে এবং এটি গভীর উদ্বেগের কারণ। ই-১ এলাকায় বসতি নির্মাণ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভূ-সম্পর্কিত সংহততাকে ব্যাহত করবে, যা আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য।"
তিনি আরও বলেন, "এই প্রকল্পটি ২০ বছর আগে তৈরি হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার কারণে বারবার স্থগিত হয়েছে। আমরা আশা করি, এটি শেষ পর্যন্ত বাতিল হবে, যাতে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা সংরক্ষিত থাকে।"
জাখারোভা গাজা অঞ্চলে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ ও নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "২৫ আগস্টে এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক, রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মী ছিলেন। এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।"
তিনি নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, "গাজা অঞ্চলে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের সমাধান প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি।"
এদিকে, ইসরায়েলের এই নতুন উদ্যোগে ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কারণ পূর্ব জেরুজালেমে বসতি স্থাপন শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করবে।
জাখারোভা রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, "গাজা অঞ্চলে শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল বিরোধ সমাধানের প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক-ডিপ্লোম্যাটিক পথে ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে যে কোনো অসংযমিত হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।"