ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ‘অমানবিক’ বললেন কিম কার্দাশিয়ান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৫৮ এম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি আবারও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল কিম কার্দাশিয়ানের মন্তব্যে। তার অভিযোগ, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-এর পদক্ষেপগুলো একেবারেই "অমানবিক"।
ডেইলি মেইল জানায়, ইতালির ভেনিসে অনুষ্ঠিত ডিভিএফ অ্যাওয়ার্ডস মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণের সময় কারাগার সংস্কারে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়ে খোলাখুলি সমালোচনা করেন।
কার্দাশিয়ান বলেন, সরকারের প্রচারণায় অভিযানকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বলে উপস্থাপন করা হলেও বাস্তবে এর শিকার হচ্ছেন নিরীহ শ্রমজীবী মানুষ। তার ভাষায়, “খবরের শিরোনামে বলা হয়—এটা অপরাধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে যারা আমাদের দেশকে গড়ে তুলেছেন, পরিশ্রমী সেই শ্রমজীবীরাই আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা আমার চেনা মানুষ, আমার বন্ধুদের পরিচিতজন, আমাদের সবার পরিচিত। তারা উন্নয়নের অংশীদার।”
তিনি আরও যোগ করেন, “সরকারের বক্তব্যে হয়তো শক্তিশালী বার্তা আছে, কিন্তু বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নিরীহ, পরিশ্রমী মানুষদের যখন পরিবার থেকে অমানবিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়, তখন নীরব থাকা যায় না। আমাদের যা সঠিক তা করতে হবে।”
লস অ্যাঞ্জেলেসে বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে কার্দাশিয়ান বলেন, “আমি দেখেছি, অভিবাসীরা কীভাবে শহরের কাঠামোর সঙ্গে গভীরভাবে মিশে আছেন। তারা আমার কাছে প্রতিবেশী, বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মী এবং পরিবার।”
তার মতে, “আমাদের সম্প্রদায়গুলো অভিবাসীদের অবদানের কারণেই সমৃদ্ধ। কিন্তু ভয় এবং অবিচার যখন মানুষকে স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত করে, তখন আমরা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না।”
ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলেও নীতিগত ইস্যুতে তিনি স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। এর আগে ট্রাম্পের মেয়াদকালে তিনি হোয়াইট হাউসে গিয়ে ফৌজদারি বিচার সংস্কার নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন এবং সেখানেও প্রেসিডেন্টের সমর্থন পান।
অভিবাসন প্রশ্নে সরব হওয়ার পাশাপাশি কিম কার্দাশিয়ান দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ বিচার সংস্কার আন্দোলনেও যুক্ত আছেন। চলতি বছরের মে মাসে তিনি চার বছরের ‘ল অফিস স্টাডি প্রোগ্রাম’ শেষ করেছেন এবং জুলাইয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার বার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, বর্তমানে ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
তার প্রচেষ্টায় ২০২১ সালে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে হস্তক্ষেপ করে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া তরুণ র্যাপার ক্রিস ইয়াংয়ের সাজা হ্রাস করেছিলেন।