ভারতে বসবাসকারী অবৈধ বাংলাদেশিদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৭:২৫ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের আসামে অবৈধ বাংলাদেশি ও অন্য দেশের বিদেশিদের নির্বাসন দ্রুততর করার জন্য নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) চালু করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সন্দেহভাজন বিদেশিকে শনাক্ত ও বহিষ্কারের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
মুখ্য প্রক্রিয়া:
১৯৫০ সালের ইমিগ্রেশন আইন অনুসারে, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল সরাসরি বিদেশি নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। নতুন আদেশে যদি কোনো ব্যক্তিকে অবৈধ বিদেশি হিসেবে সন্দেহ করা হয়, তাকে তার সমস্ত আইনি নথি ডিসি ও অতিরিক্ত ডিসির কাছে উপস্থাপন করতে হবে। নথি যাচাইয়ের পর ১০ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক প্রমাণ না থাকলে ১১তম দিনে ওই ব্যক্তিকে হোল্ডিং সেন্টারে স্থানান্তর করা হবে। সেখান থেকে উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেয়া ও বিএসএফের সহায়তায় বিদেশে নির্বাসন কার্যকর হবে।
আসাম সরকার সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি নির্বাসনের দায়িত্ব সরাসরি সরকারের নয়, বরং সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) পূর্ণ করবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হবে। শুনানির মাধ্যমে ডিসি যদি নিশ্চিত হন যে ব্যক্তি বিদেশি, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার আদেশ জারি করা হবে।
যদি ডিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তবে মামলাটি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। বিশেষত ১৯৭১ সালের পরে আসাম প্রবেশকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি তারা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নাগরিক প্রমাণিত হন, তবে অবিলম্বে নির্বাসিত করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বাস শর্মা জানিয়েছেন, আসামে প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশির বিচার বাধ্যতামূলক নয়। ডিসি ও অতিরিক্ত ডিসি (এডিসি) স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদেশিকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারবেন। তিনি আরও স্পষ্ট করেন, এনআরসি-এ নাম থাকা মানে ব্যক্তি ভারতীয় নয়। নাম থাকা সত্ত্বেও কেউ বিদেশি প্রমাণিত হলে নির্বাসিত হবেন। সুপ্রিম কোর্টও এই নিয়মের সমর্থন করেছে।
আসাম থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩০,১২৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নতুন এসওপি বাস্তবায়নের সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।