ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও গাজামুখী নৌবহর এগিয়ে চলছে: শহিদুল আলম
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:০১ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৫
ইসরায়েলি হামলার হুমকি সত্ত্বেও গাজার পথে যাত্রা থামেনি ‘গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা’র। বহরের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও দৃক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম জানিয়েছেন, মারাত্মক ঝুঁকি ও হামলার খবর সত্ত্বেও তারা এখনও এগিয়ে চলেছেন।
১ অক্টোবর রাতের শেষভাগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, তারা তখনও সমুদ্রে অবস্থান করছিলেন। তিনি বলেন, "আমরা এখন ওসেনে আছি। এইমাত্র সংবাদ আসলো যে আলমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে সেখান থেকে সিগনালে আসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা সবাই একসঙ্গে জড়ো হয়েছি। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় আমরা রিপোর্ট দিতে চেষ্টা করছি। আলমা সবার প্রথমে ছিল। আমাদের জাহাজ সবচেয়ে বড় এবং নৌবহরের শেষের দিকে আছে। কাজেই আলমার সঙ্গে যা হচ্ছে, সেটা আমাদের ওপর হবে সেটা অনুমান করা যায়। সে কারণে এটা আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক দেশের মানুষ রয়েছে যে যার মতো তাদের নিজ দেশে জানানোর চেষ্টা করছে।"
শহিদুল আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, বহরের ‘আলমা’ নামের একটি জাহাজে হামলার পরপরই সেটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সমুদ্রে থাকা অন্য জাহাজগুলোতে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথম ভিডিওর দুই ঘণ্টা পর দেওয়া আরেকটি ভিডিও বার্তায় শহিদুল জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বহরটি অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "আজ সন্ধ্যায় সমুদ্র উত্তপ্ত হয়ে যায়, বজ্রপাত শুরু হয়। এই উত্তপ্ত সাগরের মধ্যে যতো দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছে এগিয়ে যেতে। আমরা সবচেয়ে পেছনে আছি। আমাদের ওপর কী আসবে সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, "ইসরায়েল চেষ্টা করছে অন্যদের ওপর আক্রমণ করে আমাদেরকে সাবধান করার। তারা আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমরা সবাই এই ঝড়ের মধ্যে বাইরে এসে একসঙ্গে তাদের সাথে সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আপনারাও যে তাদের সঙ্গে আছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন এবং ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, সেটা আমাদের জানাবেন। আমরা তাদেরকে তা পৌঁছে দেবো।"
‘গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা’ গাজাবাসীর প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানিয়ে অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগ হিসেবে রওনা দিয়েছে। এই বহরে বিভিন্ন দেশের অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন।