ফ্লোটিলার ৩০ নৌযানের মধ্যে মাত্র ৪টি’র তথ্য পাওয়া যাচ্ছে
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:১৭ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৫
গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশিরভাগ নৌযানের খোঁজ মিলছে না। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটক করার পর বাকি ৩০টি নৌযান পথ অব্যাহত রাখলেও বর্তমানে কেবল ৪টির অবস্থান জানা যাচ্ছে।
ফ্লোটিলা ট্র্যাকার সিস্টেমের তথ্য অনুযায়ী, শনাক্ত হওয়া নৌযানগুলো হলো শিরিন, সামারটাইম জং, মিকেনো এবং মেরিনেত্তি। তবে বাকি ২৬টির কী হয়েছে—তারা যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছে নাকি ইসরায়েলের হাতে ধরা পড়েছে—সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ফ্লোটিলা ট্র্যাকারের বরাত দিয়ে জানায়, শিরিন এবং সামারটাইম জং আইনি সহায়তার জন্য রাখা হয়েছিল এবং এতে ত্রাণসামগ্রী ছিল না। অন্যদিকে মিকেনো ও মেরিনেত্তি ছিল সরাসরি ত্রাণবাহী জাহাজ, যেগুলো বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুরের মধ্যে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১১টা ২১ মিনিটের পর থেকে এ চার নৌযানেরও কোনো সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না।
গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। খাদ্য ও ওষুধবোঝাই ৪৩টি জাহাজের এই বহরে ছিলেন বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী। তাদের মধ্যে ছিলেন সুইডিশ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলা, এছাড়া বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে বহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছালে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ ঘিরে ধরে ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক জাহাজগুলোর মধ্যে স্পেক্টার, অ্যালমা, সাইরাস, হুগা ও মালি-এর নাম জানা গেছে। সেগুলোতে থাকা দুই শতাধিক যাত্রী ও নাবিককে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে ১৩টি নৌযান আটক হওয়ার পরও বাকি ৩০টি এগিয়ে যাচ্ছিল গাজার দিকে। এখন তাদের মধ্যে মাত্র ৪টির নাম শনাক্ত করা গেলেও বাকিদের অবস্থান অজানা থেকে গেছে।