দুই হাজার বছরেরও বেশি কারাদণ্ডের সম্ভাবনা ইস্তানবুলের মেয়র ইমামওলুর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:২৬ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৫
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি)-এর শীর্ষ নেতা ও ইস্তান্বুলের মেয়র একরেম ইমামওলুর বিরুদ্ধে দেশটির প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ ১৪২টি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে সর্বমোট দুই হাজার বছরেরও বেশি কারাদণ্ডের আবেদন করা হয়েছে।
তবে ইমামওলু এসব অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অভিযোগগুলোর মধ্যে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার, অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের বিষয় রয়েছে। ইমামওলুর বিরুদ্ধে এসব প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২,৩৫২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইমামওলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। মার্চ থেকে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক-বিচারিক অবস্থায় আটক রয়েছেন। সিএইচপি অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছে এবং এটিকে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ হিসেবে দেখছে।
ইস্তান্বুলের প্রধান প্রসিকিউটর আকিন গুরলেক জানিয়েছেন, ইমামওলুর সঙ্গে আরও ৪০১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আট মাসের তদন্তে দেখা গেছে, ১০৫ জন ইতোমধ্যে আটক রয়েছেন এবং তারা ঘুষ নেওয়া, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ১৬০ বিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলার) ক্ষতি করেছেন।
৫৪ বছর বয়সী ইমামওলুর বিরুদ্ধে ১২টি ঘুষ নেওয়ার, ৭টি অর্থপাচারের এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জালিয়াতির আরও ৭টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনাদোলু সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এসব অভিযোগে তার সম্ভাব্য কারাদণ্ড ২,৪৩০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
মার্চে তার গ্রেপ্তারের পর তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, শত শত মানুষকে আটক করা হয় এবং পুলিশের দমন অভিযান চলে। এরপর থেকে ইমামওলু মারমারা কারাগারে আটক আছেন।
দুর্নীতি মামলার পাশাপাশি ইমামওলুর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, জাল সনদ ব্যবহারসহ আরও অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি বাতিল হওয়ায়, আইন অনুযায়ী, তিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
ইমামওলু ২০১৯ সালে প্রথমবার ইস্তান্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে দ্বিতীয়বার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রার্থীকে প্রায় দশ লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।