জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মামলার রায় ১৭ নভেম্বর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:৩১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
আগামী সোমবার, ১৭ নভেম্বর, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের ঘোষণার প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনও আসামি ছিলেন। মামুন ইতিমধ্যে অপরাধের স্বীকারোক্তি দিয়ে ‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হয়। একই বছরের ২ জুলাই আদালত শেখ হাসিনাকে অবমাননার অভিযোগে ছয় মাসের সাজা দেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় ১,৪০০ নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ২৫,০০০ জনের অঙ্গহানি ঘটানোর উসকানি, প্ররোচনা ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ সহ মোট পাঁচটি নির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর, ১৪ আগস্ট ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতে প্রসিকিউশন বাদী হয়ে মামলাটি চালায়। ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ১ জুন ২০২৫ তারিখে প্রসিকিউশনের দেওয়া অভিযোগ গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল, এবং ১০ জুলাই শেখ হাসিনা ও দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।