শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১২:৩১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৫
মিরপুরের সকালে রূপকথার গল্প লিখলেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের উপহার দিলেন স্মরণীয় এক মুহূর্ত।
এই মাইলফলকে পৌঁছে তিনি হলেন বিশ্বের মাত্র ১১তম ক্রিকেটার, যিনি নিজের শততম টেস্টে তিন অঙ্কের ইনিংস খেললেন। টেস্ট ইতিহাসে এটি মাত্র ১২তম ঘটনা।
বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে। মুশফিক তখন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র এক রানের দূরত্বে ছিলেন। ১৮৭ বল মোকাবিলা করে পাঁচটি চারসহ ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার সঙ্গে লিটন দাস ৮৬ বলে ২ চারে সংগ্রহ করছিলেন ৪৭ রান। এই জুটিতে ১৬০ বলে আসে ৯০ রান।
এর আগে ওপেনার সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় এবং মুমিনুল হক ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তো দুই অঙ্কেও পৌঁছাতে পারেননি। দলের বিপর্যয়ে প্রথমে মুমিনুলের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলেন মুশফিক, এরপর লিটনের সঙ্গে গড়ে তোলেন আরেক গুরুত্বপূর্ণ জুটি।
শততম টেস্টে সেঞ্চুরির তালিকায় জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের নাম বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে উজ্জ্বল। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম এই কীর্তি গড়েন ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রে। এরপর ১৯৮৯ সালে ভারতের বিপক্ষে যোগ দেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। একই রেকর্ডের অংশ হন ইংল্যান্ডের আলেক স্টুয়ার্ট এবং ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক, যিনি ভারতের বিপক্ষে করেন ১৮৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং তো এই রেকর্ডের মালিক দুবার। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই তিনি সেঞ্চুরি করেন। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শততম ম্যাচে ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে শততম টেস্টে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন হাশিম আমলা।
ইংল্যান্ডের জো রুট ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এই তালিকায় আরও ব্যতিক্রমী। কারণ তারা দুজনই শততম টেস্টে খেলেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। রুট এই কীর্তি করেন ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে এবং ওয়ার্নার ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঠিক ২০০ রান করে।
মুশফিক আজ সেই অভিজাত তালিকায় নিজের নাম লিখে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করলেন।