নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ ৯ দফা দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:০৬ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হামলার পর থেকেই তারা নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে ৯ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তারা নিরাপদ ক্যাম্পাস ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহের মধ্যে রয়েছে:
১. আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা।
২. নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসন ব্যবস্থা এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধার।
৩. বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৪. সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরপরাধদের হয়রানি বন্ধ করা।
৫. দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও ন্যূনতম তিন মাস অন্তর সভা আয়োজন।
৬. সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন।
৭. প্রশাসনের ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি ও প্রক্টরিয়াল বডির প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ।
অনশনরত শিক্ষার্থী ঈশা দে বলেন, ৩০ ও ৩১ আগস্ট সংঘটিত হামলার দায় মূলত প্রশাসনের। আমরা সাত দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসনের কোনো উদ্বেগ দেখিনি। তাই আমরা চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে আজ আমরণ অনশন শুরু করেছি। যতক্ষণ না এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে, আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
অন্য অনশনকারী ওমর সমুদ্র বলেন, আমাদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। প্রক্টরিয়াল বডি বারবার ব্যর্থ হয়েছে। হামলা ঠেকাতে এবং পরে রক্তপাত কমাতে তারা অক্ষম। আগের গুপ্ত হামলাগুলোরও বিচার হয়নি। তাই আমরা ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট স্থানীয় দুর্বৃত্তদের হামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেককে ইট-পাটকেল এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে, ৩ শিক্ষার্থী মরণাপন্ন অবস্থায়। সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও নিরাপত্তা কর্মীরাও আহত হয়েছেন। মূল ঘটনা শুরু হয়, যখন এক নারী শিক্ষার্থী তার ভাড়া ফ্ল্যাটে প্রবেশ করতে গেলে তাকে মারধর করা হয়, যা পরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সূত্রপাত ঘটায়।