বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, ছেলে-বাবাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:১৪ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধ রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে এক যুবদল কর্মী, তার বাবাসহ দুইজনকে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নাভারণ ইউনিয়নের চান্দেরপোল মোড়ে ঘটে এই সহিংসতা। সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন যুবদল কর্মী আরাফাত হোসেন লাল্টু (৩৫)। স্থানীয়রা জানান, তার ডান হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং মাথা ও ঘাড়ে গভীর আঘাত পেয়েছেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়। লাল্টু উপজেলার গুণনগর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাল্টুর সমর্থক রুবেলকে প্রতিপক্ষরা ধরে নিয়ে গেলে খবর পেয়ে লাল্টু, তার বাবা মতলেব হোসেন ও ফুফাতো ভাই মামুন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তখন প্রতিপক্ষের মিজান, সোহাগ ডাক্তার, রশিদ ও রেজা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র দা ও চাইনিজ কুড়ালের আঘাতে লাল্টুর হাত ও মাথায় গুরুতর জখম হয়।
লাল্টুর দুলাভাই শাহাজান জানান, “তাকে বাঁচাতে গেলে লাল্টুর বাবা ও মামুন হামলার শিকার হন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসকদের মতে, লাল্টুর হাতের কব্জি কেটে ফেলতে হতে পারে।”
এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা সুলতানা মুন্নীর অনুসারী লাল্টু ও রুবেলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল সাবেক আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপুর অনুসারী মিজান, সোহাগ, রশিদ ও রেজার। মূলত এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন বলেন, “অপরাধী যেই হোক, দলে তার ঠাঁই হবে না। বিএনপি বা তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন থেকে কোনো বিশৃঙ্খলা করার উপায় নেই। আর অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।”
ঝিকরগাছা থানার ওসি নুর মোহাম্মদ গাজী বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। এ ঘটনা তারই জের। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”