বরিশালের পাঁচ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৫
বরিশাল বিভাগের বেশ কিছু এলাকায় টানা বৃষ্টিপাত ও পশ্চিম বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন নিম্নচাপের কারণে নদ-নদীর পানি বিপজ্জনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভাগের পাঁচটি নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে অন্যান্য নদীর পানির উচ্চতাও।
শনিবার (২৬ জুলাই) বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী দুই দিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, দক্ষিণাঞ্চলের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের গেজ স্টেশনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাঁচটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠির বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার চেয়ে ১.১২ সেন্টিমিটার বেশি এবং দৌলতখানে ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। পিরোজপুরের কচা নদীর উমেদপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার চেয়ে ১ সেন্টিমিটার এবং বলেশ্বর নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির ফলে নদীর পানি উপকূলীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে বসতবাড়ি ও কৃষি জমি প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমতে শুরু করলে কোথাও কোথাও নদী ভাঙনও দেখা দিতে পারে। তবে এই পরিস্থিতি বন্যার পর্যায়ে পৌঁছাবে না। বর্ষাকালে এই ধরনের পরিস্থিতি দক্ষিণাঞ্চলে স্বাভাবিক।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার বলেন, “নিম্নচাপের কারণে বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে চরাঞ্চলে ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় প্লাবন ঘটতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে। বৃষ্টি আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।”