গুলশানে চাঁদাবাজি: রাজ্জাকের বাড়িতে তৈরি হচ্ছে পাকা ভবন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:০১ এম, ২৮ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদের গ্রামের বাড়িতে একটি পাকা ভবনের নির্মাণ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর গ্রামে ওই ভবনটির কাজ শুরু হয়েছে প্রায় আড়াই মাস আগে, আর সম্প্রতি ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে।
রিয়াদ বর্তমানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। শনিবার রাতে গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসা থেকে তাকে ও আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আজ আদালত রিয়াদসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান।
নবীপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চার কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনটির নির্মাণ চলছে। ভবনের পাশেই রাজ্জাকের চাচা জসিম উদ্দিন ও আরেক চাচার পুরোনো টিনের ঘর। রাজ্জাকের মা রেজিয়া বেগম বলেন, টিন বিক্রি, আত্মীয়-স্বজনের অনুদান, স্বামীর জমানো টাকা এবং ব্র্যাক থেকে নেওয়া ঋণ দিয়ে ভবনের কাজ চলছে। তবে ঋণের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়দের ভাষ্য, আর্থিক অনটনে বড় হওয়া রিয়াদের পরিবারে হঠাৎ এমন নির্মাণ নিয়ে বিস্ময় তৈরি হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা ও সৌদিপ্রবাসী মো. সোহেল বলেন, “রাজ্জাক নাকি এখন কোটি টাকার মালিক, দামি বাইক কিনেছে, এসব নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।”
একজন প্রকৌশলী জানান, এক হাজার বর্গফুটের পাকা ভবন নির্মাণে খরচ হতে পারে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা, আর ছাদ ঢালাইসহ এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে আনুমানিক ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
রাজ্জাকের মা জানান, ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে এবং টিউশনি করে নিজের খরচ চালায়। বড় ছেলে ফুটপাতে ব্যবসা করেন। পরিবারের দাবি, ছেলের কোনো অবৈধ আয় নেই এবং ভবনের অর্থ মূলত ধার-দেনা ও সাহায্য থেকে এসেছে।
এদিকে, রাজ্জাকের গ্রেপ্তারের পর গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের বাইরে থাকা সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি।