গাজা শহরে অবস্থানকারীদের হুমকি ইসরায়েলের, নিহত আরও ৫৩
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৫২ এম, ০৩ অক্টোবর ২০২৫
গাজা শহরে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বাড়ছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এমনই খবর দিয়েছে আল জাজিরা একটি প্রতিবেদন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) প্রকাশ করে। একই সময়ে ইসরায়েল গাজা সিটিতে থাকা লাখো বাসিন্দাকে শহর ছেড়ে যাওয়ার সর্বশেষ আলটিমেটাম জানিয়েছে এবং সেখানে থাকা প্রত্যেককে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে গণ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি করেছে।
আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোর থেকে চলা বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি ব্যাপক ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন নানান এলাকার বাড়ি ও স্কুল ধ্বংস হচ্ছে এবং ডজনের পর ডজন মানুষ নিহত হচ্ছেন। এতে হাজারো লোক দক্ষিণের দিকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও পালানোর পথেও তাদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আল-রাশিদ সড়ক বরাবর ইসরায়েলি সেনারা মানুষকে শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে। উপকূল ধরে দক্ষিণমুখী হওয়ার পথে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক দিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, ফলশ্রুতিতে ব্যাপক আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”
চিকিৎসা সূত্রে জানা যায়, গাজা সিটিতে বৃহস্পতিবার অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার সঙ্গে সংযুক্ত এলাকায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় আরও ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলমান দুর্ভিক্ষের মধ্যে খাদ্য সংগ্রহে যাওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৬০০ এবং আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৯ হাজার বলা হচ্ছে।
আল জাজিরার দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬,২২৫ এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮,৯৩৮ জন। এছাড়া এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩,৩৫৭ জন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এই পরিস্থিতিকে গুরুতর আশঙ্কাজনকভাবে পরিণত হওয়া বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।
তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”
চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।
আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।