ইসরায়েলের বর্বরতা প্রকাশ করলেন ফ্লোটিলা থেকে আটক হওয়া সাংবাদিক


ইসরায়েলের বর্বরতা প্রকাশ করলেন ফ্লোটিলা থেকে আটক হওয়া সাংবাদিক

আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে বর্বর আচরণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন গাজার উদ্দেশে যাওয়া ইতালির এক সাংবাদিক। আটক হওয়ার পর দুই দিন পানির দেখা না পাওয়া, চোখ বাঁধা, হ্যান্ডকাফ পরানো এবং ঠান্ডা ভ্যানে বন্দি থাকার মতো নিপীড়নের বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মীর একটি বহর সম্প্রতি ৪৫টি জাহাজ নিয়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভেঙে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, পরিবেশকর্মীসহ নানা পেশার মানুষ।

তবে গাজার উপকূলে পৌঁছার আগেই, গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে পুরো বহরটি আটক করে দখলদার ইসরায়েলের নৌবাহিনী। পরে এই অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের অভিযোগ ওঠে।

শনিবার, ৪ অক্টোবর, আটক ১৩৭ জন অধিকারকর্মীকে তুরস্কে ফেরত পাঠায় ইসরায়েল। তাদের মধ্যেই ছিলেন ইতালির সাংবাদিক লরেঞ্জো অগোস্টিনো, যিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন।

লরেঞ্জো বলেন, “ইসরায়েল আমাদের সঙ্গে টেররিস্টের মতো আচরণ করেছে। গত দুইদিন আমাদের কোনো সুপেয় পানি দেওয়া হয়নি। আমাদের অপদস্থ করতে যা প্রয়োজন তার সব করেছে তারা। আমাদের চোখ বাঁধা হয়, হাতে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়। পর্যাপ্ত কাপড় দেয়নি এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা ভ্যানের ভেতর আমাদের রাখা হয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন কোনো বর্বর জায়গায় আছি। আমি আশা করছিলাম এ বর্বরতা খুব দ্রুত শেষ হবে।”

এই সাংবাদিক জানান, তাদের আসোদ বন্দরে নেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের উগ্রপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গিভির। লরেঞ্জো বলেন, “আমরা যখন আসোদ বন্দরে পৌঁছাই তখন বেন গিভির বন্দরের বাইরে ছিল। সে নিশ্চিত করছিল আমাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করা হয়। কারণ তার ধারণা আমরা সন্ত্রাসী।”

এই পুরো অভিযানের খবর এবং অভিযুক্ত আচরণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে, যেখানে ইসরায়েলের নীতির সমালোচনার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নও উঠছে।

সূত্র: আনাদোলু

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×