গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনীর জন্য ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া


গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনীর জন্য ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনী গঠনের উদ্যোগ দ্রুত এগোচ্ছে, আর সে প্রস্তুতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি জানিয়েছে, গাজায় পাঠানোর জন্য ২০ হাজার বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাজাফরি সাজামসোয়েদ্দিন জানান, তাদের পরিকল্পনা কেবল সেনা পাঠানো নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিরক্ষী টিম মোতায়েন করা। এতে থাকবেন ২০ হাজার প্রশিক্ষিত সেনা, পাশাপাশি চিকিৎসক ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ।

ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র; উভয় পক্ষের কাছ থেকেই নীতি-সম্মতির আশ্বাস পেয়েছে। এখন বাকি আছে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের সম্মতি।

এ বিষয়ে সাজাফরি সাজামসোয়েদ্দিন বলেন, “আরব অঞ্চলের দেশগুলো; বিশেষ করে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যদি সবুজ সংকেত দেয়, সেক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া আনন্দের সঙ্গে গাজা মিশনে যুক্ত হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে ২০ দফা নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র সংগঠন হামাস এতে সম্মতি জানানোয় ১০ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

ঐ প্রস্তাবের অন্যতম প্রধান দফায় উল্লেখ ছিল, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় একটি অস্থায়ী বেসামরিক টেকনোক্র্যাট সরকার গঠন এবং তাদের অধীন একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। শান্তিবাহিনীর সব সদস্য ওই টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে জবাবদিহি করবেন বলেও প্রস্তাবে বলা হয়।

তবে এই আন্তর্জাতিক বাহিনী কবে গঠন বা কার্যকর হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। যুদ্ধবিরতির এক মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট সরকার গঠনে যুক্তরাষ্ট্র বা সংশ্লিষ্ট আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×