আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজও কড়া নিরাপত্তা
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১৪ এম, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর রামপুরায় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ২৮ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।
সোমবার ২৪ নভেম্বর ভোর থেকেই হাইকোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয় নজরদারি। ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব ও বিজিবির সদস্য, আর সুপ্রিম কোর্ট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন সেনাসদস্যরা।
র্যাব ৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আজ দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে। এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে আমাদেরও দুটি টিম দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা বরাবরের মতোই তৎপর রয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এখানেই থাকবো।”
আজকের শুনানি ট্রাইব্যুনাল ১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। পলাতক দুই আসামির জন্য স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি আজ বিবেচনায় আসতে পারে।
এই শুনানি ৫ নভেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও প্রসিকিউশনের আবেদনে তা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়। গত ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। অপর সদস্য ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলার চার আসামির মধ্যে দুজন বর্তমানে কারাগারে। রেদোয়ানুল ইসলাম ও বিজিবির সাবেক মেজর মো. রাফাত বিন আলমকে গত ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল ১। পাশাপাশি পলাতকদের হাজিরায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
পলাতক দুই আসামি হলেন ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ঘটে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। এর মধ্যে শুধু রামপুরাতেই প্রাণ হারান ২৮ জন, আহত হন আরও অনেকে। রামপুরায় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রেদোয়ানুল ইসলামের গুলি ছোড়ার দৃশ্য আলোচনায় আসে। বাকি আসামিদেরও একই ঘটনায় নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করলে চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক ফরমাল চার্জ জমা দেয় প্রসিকিউশন।