জনগণ যেভাবে চাইবে দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে: তারেক রহমান

দেশের জনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (১১ আগস্ট) নওগাঁ জেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই বক্তব্য দেন।

তারেক রহমান বলেন, “গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে একটা দাবি আমরা করে আসছিলাম। সেই দাবি ছিল জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি। অর্থাৎ জনগণের দেশ এই বাংলাদেশ। কাজেই এই দেশের মালিক এই দেশের ২০ কোটি জনগণ। দেশের ২০ কোটি জনগণের অধিকাংশ জনগণ যেভাবে চাইবে, দেশ সেভাবেই পরিচালিত হবে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক প্রয়োগের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। ভোটের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত দেয় এই দেশ কারা পরিচালনা করবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। অর্থাৎ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ভোট। যার জন্য এই দেশের বহু মানুষ গুম, খুন ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছে।”

বক্তব্যে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, দলটি কোনো পক্ষকে অবমূল্যায়ন করতে চায় না, বরং সকলের অংশগ্রহণে কাজ করতে আগ্রহী। তার ভাষায়, “আমরা কাউকে হেয় করতে চাই না, আমরা কাউকে ছোটও করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। আমরা সবার মতামতকে সম্মান জানাতে চাই।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রের কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে বিএনপি যে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে, সেখানে দলের পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি কী কী সংস্কার করতে চায়, রাষ্ট্রকে জনগণের মতো করে গড়ে তোলার জন্য কী কী মেরামত করতে চায়, সেই বিষয়গুলো ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “বিএনপির এই ৩১ দফা আর সরকারের ঐকমত্য কমিশেনের বক্তব্য শুনলে দেখবেন সবগুলো বিষয় মিলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র দু-একটা বিষয় এদিক-সেদিক হতে পারে।”

আগামী নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তারেক রহমান জানান, “বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। দেশের মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা বিএনপির।”