ছাত্রলীগের মতো শিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হল দখল করছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৩৫ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, ছাত্রলীগের মতোই ছাত্রশিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হল দখল করছে। তিনি এই মন্তব্য করেন বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে ছাত্রদলের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে।
এই সাক্ষাৎটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং ডাকসুকেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির রূপরেখা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজনীতির পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ছাত্রলীগ যেভাবে হলগুলো দখল করেছিল, শিবিরও গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে হলের সামাজিক সংগঠনগুলো দখল করে নিচ্ছে। ঢাবি শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যেই হলসমূহে গুপ্ত ছাত্র রাজনীতির প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছে এবং এই ধারা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। ছাত্রদল সচেতন ছাত্র সংগঠন হিসেবে সবসময় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতায় থাকবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।
রাকিব উল্লেখ করেন, ক্যাম্পাসে থাকা চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা এবং যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ক্যাম্পাসে গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ এবং হলে ছাত্র রাজনীতির প্রকৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আপডেট পাওয়া যাবে।
তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা ছাত্রদল মব এবং সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হচ্ছি। ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুলিয়াস সিজার তালুকদার, যে ঢাবি শিক্ষার্থীর সংসদ-১ ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন, বিভিন্নভাবে গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে। ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে মব সৃষ্টি হয়েছিল, তার অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিলেন তিনি।”
রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাইবার বুলিং, গুপ্ত ছাত্ররাজনীতি এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও অপসংস্কৃতির জন্ম দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত চালাবে। ছাত্রদলের হল কমিটিগুলো বিদ্যমান থাকবে।