১৭ বছর ক্ষমতায় নাই, তবুও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি: শামা ওবায়েদ

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, আমরা ১৭ বছর ক্ষমতায় নেই, তবুও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের শাসনে গত ১৭ বছরে আলেম-ওলামাদের ওপর ব্যাপক জুলুম হয়েছে। শুধু আলেমরা নয়, যারা দাঁড়ি রেখেছে বা টুপি পরেছে, তাদেরও নির্যাতন করা হয়েছে। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে যদি তাদেরকে না পেতো, তবে তাদের পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। অনেককে ধরে এনে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদর এলাকায় স্থানীয় ওলামা দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বড় দল হলেও এখন যে শেখ হাসিনা এভাবে পালিয়ে যাবে, তা তার নিজের নেতাকর্মীরাও ভাবেনি। তাই আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করি এবং আমাদের ভাই-বোন মনে করি। আগামী নির্বাচনে দলমত ও ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে, সেই চেষ্টা করতে হবে।

শামা ওবায়েদ আরও বলেন, রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র থাকবে। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় নেই, তবুও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বিএনপির নীতি-আদর্শ হলো, জনগণ ভোটের মাধ্যমে আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা মানবিক বাংলাদেশ ও জবাবদিহিমূলক সরকার গড়ার চেষ্টা করব।

তিনি আওয়ামী লীগের এমপিদের দুর্নীতির বিষয়েও বলেন, ২০০৮ সালে যারা নৌকায় ভোট দিয়েছিল, তারা আজও দুঃখ করে যে নৌকায় ভোট দিয়েছিল। কারণ প্রধানমন্ত্রীর পরিবার ও তাদের ঘনিষ্ঠদের কাছে হালুয়া-রুটি ও দুর্নীতির ভাগ গেছে। এমপিরা বিনাভোটে সংসদ সদস্য হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার করেছে। এমন সংসদ আমরা আর চাই না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে নারী হলেও স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ৯ বছর আন্দোলন করেছেন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে তিনি উপমহাদেশে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের গনতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার whenever ব্যহত হয়েছে, খালেদা জিয়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।