৫ দফা দাবিতে চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:০৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা শতভাগ আবাসন নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে। তারা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না।
রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আড়াইটায় তারা ভবনে তালা দেন। এই সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান এবং রেজিস্টার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভবনে আটকা পড়েন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘আবাসন ভাতা দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘চবির একশন, ডাইরেক্ট একশন’, ‘আবাসন আমার অধিকার, রুখে দেয়ার সাধ্য কার’, ‘হয় আবাসন দেন, নাহয় আবাসন ভাতা দেন’ ও ‘হলের নামে বৈষম্য মানি না, মানব না’ মতো স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সিট সংকট ও আবাসনের সমস্যা ভোগ করছেন। ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসন তাদের দাবির বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাদের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে হলে আবাসনের সুযোগ বা সমপরিমাণ ভাতা দিতে হবে।
ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী আসমানি বিনতে তাজবী বলেন, সুপারিশসহ কয়েকবার হলে আবেদন করেছি, অনেকেই করেছে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। আসন বরাদ্দে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। পরিচিত অনেকে একা পুরো রুমে থাকে, আবার রাজনৈতিক প্রভাবেও সিট পাচ্ছে অনেকে। স্বচ্ছতার কথা থাকলেও এক বছর পরও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হলো:
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিতকরণ: শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। আজকেই সিন্ডিকেট সভায় আধুনিক ও বহুতল হল নির্মাণের রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে।
২. আবাসন ভাতা নিশ্চিতকরণ: শতভাগ আবাসন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিকদের উপযুক্ত ভাতা প্রদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. অবৈধভাবে হলে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীর শনাক্তকরণ: সকল হলে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের তালিকা তৈরি করে তাদের সিট বাতিল করতে হবে এবং হল ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।
৪. হলের আবেদনে ১০০ টাকা প্রহসন বন্ধ: আবেদনের সময় যেসব শিক্ষার্থী সিট পাননি, তাদের নেওয়া ১০০ টাকা ফেরত দিতে হবে।
৫. মেয়েদের হলে ডাবলিং প্রথা বন্ধ: ডাবলিং প্রথা বন্ধ করে ডেকার বেড প্রথা চালু করতে হবে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম জানান, তারা কোন আল্টিমেটাম ছাড়া ভবনে তালা দিয়েছে। আমাদের কাছে কোন দাবি নিয়ে এসেছে আর আমরা পূরণ করিনি এটা হয়নি। এটি কোনো নীতির মধ্যে পড়ে না।