রাজধানীতে এক দিনে দুই ছাত্রদল নেতা খুন


রাজধানীতে এক দিনে দুই ছাত্রদল নেতা খুন

রাজধানীতে মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের লাশ গুলশান থেকে, অন্যজনের মোহাম্মদপুর থেকে পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সৌরভ এবং মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ। 

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক একটায় ছাত্রদল নেতা সৌরভের হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয় বলে জানা যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সৌরভকে বিএনপির গুলশান অফিস থেকে বের হওয়ার পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত আনুমানিক একটায় গুলশান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাসায় ফেরার পথে গুলশান লেকের কাছে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। একাধিক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

বাউফল পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যা’ আখ্যায়িত করে বলেন, “সৌরভ একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড সাধারণ অপরাধ নয়, এটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

নিহত ছাত্রদল নেতা সৌরভের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ আমাদের ফোন করে জানিয়েছে যে ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। কেন ঢাকায় এসেছিলেন, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।”

নিহতের ভগ্নিপতি মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “মরদেহ গুলশান লেকের পাশে পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে তিনি একজন গাড়ি চালক ছিলেন। হত্যার পেছনে প্রেমসংক্রান্ত বিষয় থাকতে পারে।”

একই দিনে সকালে মোহাম্মদপুরে সাব্বির আহমেদের লাশও উদ্ধার করা হয়। তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি কাজি রফিক জানান, কয়েকজন যুবক সকালে লাশটি থানায় নিয়ে আসে। তদন্ত এখনও চলছে এবং প্রাথমিকভাবে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ বলেন, “সাব্বিরের লাশের হাতে ও পায়ে দাগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছি।”

দুই নেতার আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোক এবং উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। সংশ্লিষ্ট থানাগুলো পৃথকভাবে ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত চালাচ্ছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×