রাজধানীর সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ, ক্রেতাদের ভোগান্তি


রাজধানীর সব মোবাইল মার্কেট বন্ধ, ক্রেতাদের ভোগান্তি

রাজধানীর মোবাইল বাজারগুলো হঠাৎ অচল হয়ে পড়ায় বুধবার সকাল থেকেই বিপাকে পড়েন দূরদূরান্ত থেকে আসা অসংখ্য ক্রেতা। বসুন্ধরা সিটি, মোতালেব প্লাজা, স্টার প্লাজা সহ বৃহত্তম মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় কেউ নতুন ফোন কেনার সুযোগ পাননি, আবার কেউ পুরোনো সেট মেরামত না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।

দেশজুড়ে মোবাইল বিক্রি বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত আসে স্মার্টফোন ও গ্যাজেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) এর আহবানে। বুধবার ১৯ নভেম্বর ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এনইআইআর বাস্তবায়ন: মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

এর আগের রাতেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস এবং সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা এটিকে ‘অন্যায় আটক’ বলে অভিযোগ করেন এবং সকালে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরে মিজানুরকে সকালেই এবং পিয়াসকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমবিসিবির একাধিক সদস্য বলেন, “কোনো অভিযোগ ছাড়াই রাতে তুলে নিয়ে যাওয়াটা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। আমরা ব্যবসায়ী, আমাদের ওপরেই কেন এত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে? আমাদের সঙ্গে বসে কথা বলুক। কী করতে হবে, কোন নিয়মে করতে হবে; আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিক। কিন্তু এভাবে ২০-২৫ হাজার ব্যবসায়ীকে পথে বসিয়ে কী প্রমাণ করতে চায়?”

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমান কর কাঠামোয় এনইআইআর কার্যকর হলে মোবাইল ফোনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং বাজারে ফোন কেনা কঠিন হয়ে পড়বে। উচ্চ শুল্ক আরোপের ফলে দেশের লাগেজ ফোন ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মুঠোফোন বিক্রেতা কামাল হোসেন জানান, লাগেজ ফোনে প্রস্তাবিত ৫৭ শতাংশ ভ্যাট ও কর আরোপ করা হলে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। তিনি বলেন, এতে অবৈধ পথ আরও উসকে দেবে এবং সরকার রাজস্ব হারাবে। একই সঙ্গে মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠানের এসেম্বেলড ফোন দিয়ে দেশের সব গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করাও সম্ভব নয়।

জানা গেছে, অনিবন্ধিত মুঠোফোন হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যেই আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এই পদ্ধতি চালু হলে নিবন্ধনবিহীন, চুরি হওয়া বা অনুমোদনহীন আমদানিকৃত ফোন দেশের কোনো মোবাইল নেটওয়ার্কে আর ব্যবহার করা যাবে না বলে আশা করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×