ভারত কখনোই কোনো দেশ দখল করেনি: আরএসএস প্রধানের দাবি


ভারত কখনোই কোনো দেশ দখল করেনি: আরএসএস প্রধানের দাবি

ভারত অতীতে কখনো কোনো দেশ দখল করেনি বরং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জ্ঞান ও সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিয়েছে; এমনটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগে ভারত ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র এবং সে সময়ও দেশটি বিশ্ব নেতৃত্বে ছিল। তবে, তার ভাষায়, সেই নেতৃত্ব কখনোই সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

“আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু কোনো দেশ দখল করিনি, কারও বাণিজ্য ঠেকাইনি, কারও সংস্কৃতি পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিত করিনি। বরং যেখানে গেছি, সভ্যতা, জ্ঞান ও শাস্ত্র শিখেছি, জীবনকে উন্নত করেছি,” বলেন মোহন ভগবত, নর্মদা পরিক্রমা নিয়ে প্রহ্লাদ প্যাটেলের লেখা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে।

তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল, সবকিছু ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগও ছিল। আজ সেটা নেই।”

ভগবতের মতে, ভারতের প্রাচীন শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে ছিল পূর্বপুরুষদের নির্মল মনোভাব ও সচেতনতা। তিনি বলেন, “তখন বিশ্বে কোনো সংঘাত ছিল না। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ছিল খুবই উচ্চ পর্যায়ে, কিন্তু পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়নি। মানুষের জীবন ছিল সুখী ও সংস্কৃতিময়।”

এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভগবতের এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে যখন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের বিষয়ে বিতর্ক চলছে।

শুক্রবার নাগপুরে ব্রহ্মকুমারী বিশ্ব শান্তি সরোবরের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া আরেক বক্তৃতায় ভগবত অভিযোগ করেন, ভারতের ক্রমাগত উন্নতি বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, “মানুষ ভাবে, অন্য কেউ যদি বড় হয়ে যায়, তবে তাদের কী হবে। ভারত যদি বড় হয়, তারা কোথায় থাকবে? তাই তারা শুল্ক বসিয়েছে।”

তার মতে, এটা ভারতের দোষ নয়, বরং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার যে ভয়, তারই প্রতিফলন। “আমরা কিছু করিনি, অথচ তারা যেটা করেছে, তাদেরই খুশি করছে, কারণ তাদের পাশে থাকলে ভারতকে কিছুটা চাপ দেওয়া যায়,” বলেন তিনি।

এ ধরনের পদক্ষেপকে মোহন ভগবত আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ বলে অভিহিত করেন।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×