জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বন্ধ করতে হবে: ফয়জুল করীম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:২৫ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৫
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করীম দাবি করেছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বন্ধ করতে হবে, কারণ এটি দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির বিরোধী। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি কমিশন বন্ধ না করা হয়, তবে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেটি বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা পাইলট স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি ফয়জুল করীম ভোটের প্রেক্ষাপটে বলেন, ‘নৌকা, ধানের শীষ, লাঙল—এই সব প্রতীক জনগণের, কিন্তু নির্বাচনে সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রার্থী হয় না। প্রার্থী হয় শুধু বড়লোকেরা। হাতপাখা প্রতীকটি যে কারো জন্য—গরিব-ধনী সকল শ্রেণির মানুষের জন্য—এবং তিনি জনগণকে হাতপাখায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।’
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হলে আর কখনো নির্বাচনে আসব না।’
নির্বাচন ও বৈষম্যের প্রসঙ্গে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারতের জন্ম হলেও পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু হয়, যা দেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনের কারণ হয়। স্বাধীনতার পর বহু সরকার এসেও সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি, বৈষম্য দূর হয়নি। তিনি বলেন, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য ইসলামী শাসনই একমাত্র বিকল্প, কারণ বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধনীকে আরও ধনী ও গরিবকে আরও গরিব করে, যেখানে ইসলামী অর্থনীতি অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করে।
তিনি আরো বলেন, ‘চাঁদা ও দুর্নীতি শুধু স্থানান্তরিত হয়, বন্ধ হয় না। আমাদের নেতার বদল নয়, নীতির বদল প্রয়োজন।’
নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরির জন্য পরীক্ষা হিসেবে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন।’
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা ও উপজেলা শাখার নেতারা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি জামালপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।